No Internet Connection !

বাংলাদেশের বিখ্যাত স্থানসমূহ

বাংলাদেশের বিখ্যাত স্থানসমূহ
আহসান মঞ্জিল : ঢাকার ইসলামপুরে অবস্থিত। ১৮৭২ সালে নবাব আবদুল গনি তার পুত্র খাজা আহসান উল্লাহর নামে 'আহসান মঞ্জিল' নির্মাণ করেন। এটি বর্তমানে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর নামে পরিচিত। ১৯৯২ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।
শালবন বিহার : কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কি. মি. পশ্চিমে ময়নামতি ও লালমাই পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। ৮ম শতকের শেষার্ধে দেবরাজা এখানে শালবন বিহার নির্মাণ করেন। এখানে বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত।
দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ : সাতক্ষীরা জেলার হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ অবস্থিত। ভারতের নিকট এটি পূর্বাশা বা নিউমুর নামে পরিচিত। ১৯৮১ সালে ভারত জোর করে এটি দখল করে নেয়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ : টেকনাফ থেকে ৩৭ কি. মি. দক্ষিণে অবস্থিত। এর পুরাতন নাম নারিকেল জিঞ্জিরা। বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের ইউনিয়ন। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এটি পর্যটন কেন্দ্র, মৎস্য আহরণ, খনিজ পদার্থ, চুনাপাথরের জন্য বিখ্যাত।
উত্তরা গণভবন : নাটোর জেলায় অবস্থিত। সরকারের উত্তরাঞ্চলীয় সচিবালয়। এটি রাজা প্রমদা নাথ রায়ের বাসভবন ছিল। ১৯৬৭ সালে এর নাম গভর্নর হাউজ রাখা হয়। ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান এর নাম রাখেন উত্তরা গণভবন।
সোমপুর বিহার : নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত। পালবংশের রাজা ধর্মপাল ৮ম শতকে এটি নির্মাণ করেন। এখানে বৌদ্ধ সভ্যতা ও হিন্দু সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়।
মহাস্থানগড়: বগুড়া জেলায় করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। এটি মৌর্য ও গুপ্ত বংশের রাজাদের রাজধানী ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত।
পাহাড়তলী : চট্টগ্রামে অবস্থিত। বাংলাদেশের রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর। এখানে রেলগাড়ি, ইঞ্জিন, বগি ইত্যাদি সংযোজন ও মেরামতের প্রধান কারখানা রয়েছে।
পাকশী : পাবনা জেলায় অবস্থিত। পদ্মা নদীর ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এখানে অবস্থিত। উত্তরবঙ্গ কাগজ কল এখানে রয়েছে।
সারদা : রাজশাহী জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের একমাত্র পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ এখানে অবস্থিত।
নোয়াপাড়া : খুলনা বিভাগের যশোর জেলার অন্তর্গত। ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত। রেল স্টেশন, কাপড়ের কলের জন্য বিখ্যাত।
ডুলাহাজরা : কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। হরিণ প্রজনন কেন্দ্র অবস্থিত এখানে।
ঢাকা: ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের রাজধানী বৃহত্তর শহর।
লালবাগ দুর্গ: ঢাকার লালবাগে অবস্থিত। ১৬৭৮ সালে নির্মিত হয়। যুবরাজ আযম লালবাগ দুর্গের কাজ শুরু করেন এবং শায়েস্তা খান শেষ করেন। এর পুরাতন নাম ছিল আওরঙ্গবাদ দুর্গ। এখানে শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির মাজার অবস্থিত।
ছোট কাটরা : ঢাকার চকবাজারে অবস্থিত সালে শায়েস্তা খান এটি নির্মাণ করেন।
বড় কাটরা : ঢাকার চকবাজারে অবস্থিত। ১৬৬৪ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। শাহ সুজা বড় কাটরা নির্মাণ করেন।
সোনারগাঁও : ঢাকা থেকে ২৬ কি. মি. দূরে সোনারগাঁও অবস্থিত। এর পূর্ব নাম ছিল সুবর্ণ গ্রাম। ঈসা খাঁর রাজধানী ছিল সোনারগাঁয়ে। ঈশা খার স্ত্রী সোনা বিবির নামে সোনারগাঁও এর নাম রাখা হয়। এখানে পাঁচ বিবির মাজার, সোনা বিবির মাজার, গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের কবর, হোসেন শাহ নির্মিত মসজিদ ও জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর অবস্থিত।
ময়নামতি : কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত। রাজা মানিকচন্দ্রের স্ত্রী রানী ময়নামতির নামানুসারে এ স্থানের নামকরণ করা হয়। এখানে শালবন বিহারের ধ্বংসাবশেষ ছাড়াও বৌদ্ধ হিন্দুধর্মের বহু নিদর্শন পাওয়া গেছে। এখানে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর রয়েছে।
নিঝুম দ্বীপ: মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত। ১৯৬০ সালে নোয়াখালীর মাঝিরা এটি আবিষ্কার করেন। এর পুরাতন নাম বাউলার চর। ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ে এখানে অনেক লোক মারা যায় এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়। তখন থেকে এর নাম দেয়া হয় নিঝুম দ্বীপ।
কুয়াকাটা : পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়ায় বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত সমুদ্র সৈকত। এটিকে সমুদ্র কন্যা বলা হয়। এখানে সূর্য উদয় ও অস্তের দৃশ্য দেখা যায়। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কি. মি. এবং প্রস্থ ৫ কি. মি.।
কুতুবদিয়া : বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি দ্বীপ। বাতিঘরের জন্য বিখ্যাত।
শিলাইদহ : কুষ্টিয়া জেলায় পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ীর জন্য বিখ্যাত।
কক্সবাজার : বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী জেলা শহর এবং স্বাস্থ্যকর স্থান। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য ১৫৫ কি. মি.। এটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র।
কোটবাড়ি : কুমিল্লায় অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থান। এখানে প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন শালবন বিহার রয়েছে। এখানে বার্ড ও ক্যাডেট কলেজ রয়েছে।
তিনবিঘা করিডোর: তিনবিঘা করিডোর বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের মুজিব, ইন্দিরা সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে পায়। তিনবিঘার বিনিময়ে বাংলাদেশ ভারতকে বেডুবাড়ী হস্তান্তর করে। তিনবিঘা করিডোর ভারত, বাংলাদেশের জন্য ২৬ জুন, ১৯৯২ সালে খুলে দেয়। তিন বিঘা করিডোরের আয়তন ১৭৮ মিটার × ৮৫ মিটার। এটি লালমনিরহাট নদীর পাড়ে অবস্থিত।
জাফলং: সিলেট জেলার গোয়াইন ঘাট থানায় অবস্থিত। এটি পর্যটন কেন্দ্র, প্রাকৃতিক দৃশ্য, চা বাগান ও কমলালেবুর বাগানের জন্য বিখ্যাত।
জলদিয়া: চট্টগ্রামের সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মেরিন একাডেমী ও নৌ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এখানে অবস্থিত।
মহেশখালী : কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত। বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ। শুঁটকি মাছ ও মিঠাপানির জন্য বিখ্যাত।
পুটিয়া : রাজশাহী জেলায় অবস্থিত। রাজশাহী-পাবনা সড়কের পাশে অবস্থিত। প্রাচীন জমিদার বাড়ির জন্য বিখ্যাত।
মুজিবনগর: মেহেরপুর জেলায় অবস্থিত। এর পুরাতন নাম বৈদ্যনাথ তলার ভবের পাড়া। ১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের জন্য বিখ্যাত। অস্থায়ী সরকারের রাজধানী ছিল এখানে। এখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
মহামুনি বিহার : চট্টগ্রামের রাউজানে অবস্থিত। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী তীর্থস্থান।
চন্দ্রঘোনা : রাঙামাটি জেলায় কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত। বিখ্যাত কর্ণফুলী কাগজ কল ও রেয়ন মিল অবস্থিত।
top
Back
Home
Gsearch